স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছানো শুরু করেছে ইলিশ। এই খবরে ইলিশপ্রেমীরা ছুটছেন বাজারে। তবে বাজারে গিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ না পেয়ে তাদের হতাশ হতে হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, কোলাঘাটে ও দীঘায় পাওয়া ইলিশ কিনেই বাড়ি ফিরছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গবাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ইলিশ কোথায় গেল? কলকাতা ও হাওড়ার কোনো কোনো বড় মাছ ব্যবসায়ী বাংলাদেশের ইলিশ বিক্রি করলেও তার দাম শুনে চোখ কপালে উঠছে ক্রেতাদের। বড় আকৃতির প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ রুপি থেকে ২৫০০ রুপিতে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৬৫৭ টাকা থেকে ৩৩২১ টাকা।
তবে হাওড়ার পাইকারি বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকছে। কিন্তু তা আর খুচরা বাজারে পৌঁছেছে না। মাছব্যবাসীরা জানান, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং আড়তদারে হাত ঘুরে মাছ চলে যাচ্ছে হিমাগারে। যা জামাইষষ্ঠী ও অন্যান্য পার্বণের সময় বের করা হবে। কিছু মাছ মজুত রাখা হচ্ছে বড় হোটেল ও রেস্তোঁরার জন্য। পরে বেশি দামে মাছগুলো বিক্রি করার জন্যই এ মজুদ করা হচ্ছে। মূলত এ কারণেই খুচরা বাজারে দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশের ইলিশ।
গড়িয়াহাটের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের কেজি প্রতি মাছে দাম পড়ে যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৯৩ টাকা থেকে ২১২৫ টাকা)। সেই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০০ (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৬৫৭ টাকা) হাজার রুপিতে। এত দাম দিয়ে কে মাছ কিনবে?’ পূজার সময় ইলিশের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
এর আগে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছিল আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হবে। ৭৯ ব্যবসায়ী ৫০ টন করে ইলিশ পাঠাতে পারবেন। এরই মধ্যে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আগে নির্দিষ্ট করে দেওয়া পরিমাণ ইলিশ ঢুকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।